লক্ষ্মী

—– Avidha Goswami

লক্ষ্মীর সাথে আজ আবার অনেক গল্প করেছি, ওর গল্পগুলো বেশ interesting লাগে আমার , রং চড়িয়ে সুন্দর ভাবে গল্প বলার এক বিরাট  প্রবণতা  আছে ওর মধ্যে । আজ আমরা দুজনেই ওর গল্প শুনেছি খুব মন দিয়ে,আজকের গল্প ছিল ওর নিজের জীবনের । আমার থেকে এক বছরের ছোট বা আমারই বয়সই হবে হয়তো ,তাই নাম ধরেই ডাকি  ওকে আর ও আমাকে দিদি বলে সম্বোধন  করে , প্রথম দিন থেকেই।  মাধ্যমিক এ বিশাল রেজাল্ট করেছিল নাকি ও,তাও  আবার সব সাবজেক্ট এর teacher ছাড়ায় ।  ওর বাবা সামান্য construction লেবার, মা লোকের বাড়ি কাজ করতো ,তিন বোন নিয়ে ওরা মোট ছিল পাঁচ জন। বাবার পক্ষে সম্ভব ছিলনা তিন জন কে খাইয়ে- পরিয়ে আবার সব বিষয়ে আলাদা করে করে মাস্টার- মশাই  দেওয়ার, কোনক্রমে দুটো বিষয়ে ; অঙ্ক আর ইংলিশ, এই দুটো সাবজেক্ট এর  জন্য টিউশন নিতে পেরেছিল সে তাও আবার পাশের বাড়ির পাতানো কর্মরত  দাদার সাহায্যে । মা সকাল হলেই বেরিয়ে পড়তো কাজে , বাড়ির যাবতীয় কাজ করতো আমাদের লক্ষ্মী , বড়ো বোন বলে কথা ।  বাবার সাথে তো দেখায় হতনা ওদের, বাবা বেড়োতো ভোরে  আর বাড়ি ফিরত যখন, তখন   ওরা তিন বোনে গভীর নিদ্রায় । ছুটি বলে তো কিছুই ছিলনা তেমন, হ্যাঁ পয়লা মে ; ওই একটা দিন ওর বাবার ছুটি থাকতো । তিন বোন মিলে বাবাকে  আঁকড়ে ধরতো ,কে আগে  কার গল্প শোনাবে সেই নিয়ে  বাঁধতো ঝগড়া – ঝাঁটি । বাবা তিন বোনকেই ভীষণ ভালোবাসতো , ছেলে নেই বলে তেমন আপসোস  কোনদিনই ছিল না লক্ষ্মীর বাবার। 

মেজো বোন ;  দূর্গার সাথে লক্ষ্মীর বয়সের পার্থক্য খুব বেশি ছিলনা লক্ষ্মী যখন ষোলো দূর্গা তখন তেরো প্লাস। ছোটো বোনটা দুজনের থেকে  অনেকটাই ছোটো ,ওর নাম  সরস্বতী।  সরস্বতী নাকি লক্ষ্মীর চেয়েও পড়াশোনায় এক কাঠি উপরে। বাবা সখ করে তিন জনের নাম দেবী দের নামে রেখেছিল।  দূর্গা আবার ছিল খেলা – ধূলায় পারদর্শী , তার কোনদিনই তেমন পড়াশোনায় মন ছিলনা ।  মা – বাবা দুজনের রোজগারে  হেসে – খেলে ভালোই দিন কাটতো ওদের, কিন্তু ওই  অদৃষ্ট শক্তিটি সবাইকে সারা জীবন শান্তিতে থাকতে দেয় কোথায় …
লক্ষ্মীর মায়ের  গভীর অসুখ ধরা পড়লো, সারা শরীরে নাকি জল জমে গেছিলো, হাত – পা , ফুলে উঠছিল দিনে দিনে । পাড়ার মোঁড়ের চেম্বারে বসতো  ঘোষ ডাক্তার অনেকরকম পরীক্ষার পর উনি  বলেছিলেন , মাকে এবার বেড- রেস্ট এ থাকতে হবে । শুরু হলো সংসারে টানাটানি, কদিনের মধ্যে  লক্ষ্মীর মাধ্যমিক এর রেজাল্ট বেরোলো  , চারটে বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়েছিল লক্ষ্মী। বাবা  গর্বের সাথে সারা পাড়া রটিয়ে বেরিয়েছিল তার মেয়ের সুকীর্তির কথা।
পাশের বাড়ির দাদা একটু দূরের একটা স্কুলে ভর্তিও করে এসেছিল আর্টস এই । বাবা খুব খুশি হয়ে সেদিন ওকে সহমতি দেয়নি যদিও, তাও না বলেনি একবারও মুখ ফুটে , বড্ড ভালোবাসতো কিনা, অনেক স্বপ্নও তো দেখেছিল  লক্ষ্মীদের  নিয়ে  তাই।

পাড়ার পাল কাকু শনিবার রাতে  ওদের বাড়ি এসেছিল , একটা গভীর আলোচনা চলছিল বাবা আর পাল কাকুর মধ্যে । লক্ষ্মী তখন খানিকটা বড়ো হয়েছে , একটু আঁচ যে সে পায়নি  তা নয় । সোমবার রাতে  একটু তাড়াতাড়িই  বাড়ি ফিরেছিল  বাবা । ওরা যখন সবাই  একসাথে  খেতে বসলো  , বাবা একটু আমতা আমতা করে   লক্ষ্মীকে  বললো ,
– লক্ষ্মী মা , পাল দা তোর জন্য একটা পাত্রের খোঁজ দিয়েছে রে , আমারও বেশ ভালো লেগেছে  সব শুনে , তোর মাকেও বলেছি । কাল ওরা তোকে দেখতে আসবে বলেছে ।
লক্ষ্মীর পা থেকে মাটি টা কেমন সরে যাচ্ছিলো , চোখে মুখে অন্ধকার দেখছিলো সে, এত স্বপ্ন , এত  এত  আশা সব যেনো এক মুহূর্তে  কোথায় যেন বিলীন হয়ে যাচ্ছিল। লক্ষ্মী তখন  বাড়ির বড়ো মেয়ে ,  সে বুঝতে পেরেছিল বাবা তাদের এই দুর্দশার দিনে  অনেক কিছু ভেবে – চিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।
বাবা জিজ্ঞেস করলো ;
– কিরে ? তুই কি বলিস মা ..
লক্ষ্মী সব ভুলে  নির্বিঘ্নে বাবার কথায়  ঘাড় নেরে সহমতী দিল।
সেদিন রাত্রে ঘুমাতে পারেনি লক্ষ্মী সারারাত প্রবল যন্ত্রণায় ছট্ফট্ করেছিল আর কেঁদেছিল , সে বুঝেছিল এই তার নিয়তি  এর থেকে পালাবার আর কোনো উপায় নেই তার কাছে ।  বাবা সকাল থেকে মেয়ের মুখোমুখি হতে পারেনি  সেদিন , চোখে চোখ রাখতে পারেনি  যেন বিরাট একটা অপরাধ করতে বসেছে সে ।  যথারীতি পাত্র পক্ষ দেখতে এলো ওকে , সেদিন পাশের বাড়ির কাকিমা  লাল শাড়ি  আর মাথায় ফুল দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছিল লক্ষ্মীকে । পটে আঁকা লক্ষ্মী ঠাকুরের মতই লাগছিলো লক্ষ্মীকে । সেদিনই আশীর্বাদও করে , পাঁকা কথা বলে , বিয়ের তারিখ ঠিক করে গেছিলো ওরা  , এত ভালো পাত্রী হাতছাড়া করতে চায়নি আসলে, বাবা সেদিন লক্ষ্মীকে জড়িয়ে খুব কেঁদেছিল কিন্তু বাবা যে ছিল নিরুপায় । পাড়ার লোকের সাহায্যে , মায়ের  ঘটে জমানো টাকা , বাসন- কসন দিয়ে ঠিক ৬ মাস পর লক্ষ্মীর বিয়ে হয়ে  গেলো।  মাত্র সাড়ে ষোলো বছর বয়সে লক্ষ্মী তখন কারো বাড়ির বউ , ভাবতেই আমার কেমন অবাক লাগে । এইসব বিয়ে সাদি , প্রেম ভালোবাসার চক্করে পড়তে চায়নি বলেই টিউশনের  ১২ ক্লাসে পড়া দাদার প্রপোজাল রিজেক্ট করেছিল একদিন লক্ষ্মী , বেশ ভালো ছিল পড়াশোনায় ছেলেটি , লক্ষ্মীকে পড়াশোনায়  সাহায্যও করেছে কিছুবার । লক্ষ্মীরও তার প্রতি ভালো লাগা ছিল বই কি! কিন্তু লক্ষ্মী জানতো তার সীমা ঠিক কতটা।

Illustration by Aradhya..collected from printerest.

লক্ষ্মী আমার এক  বান্ধবীর  বাড়িতে রান্না করতে আসে , লক্ষ্মী এখন এক বাচ্চার মা , সে ও এক মেয়ের মা , মেয়েটিও মায়ের মতনই সুন্দরী হয়েছে । অ ,আ , লিখতে শিখেছে সবে ,আর বেশ সুর টেনে টেনে কথাও বলে  , মাঝে মাঝে ওকে আনে সঙ্গে করে , সেদিন আর লক্ষ্মী পাত্তা পায়না আমাদের কাছে , ওই মাতিয়ে রাখে আসর। ওর নাম রেখেছে প্রীতিলতা , নাম টি লক্ষ্মীর দেওয়া , স্কুলে  প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার – এর সাহসিকতার গল্পটি পড়েছিল সে , সেখান থেকেই এই নামকরণ।

লক্ষ্মীর  শশুরবাড়ির পারিবারিক ব্যবসা দেখেই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বেশ সচ্ছল অবস্থা ছিল ওদের  , লক্ষ্মী বুঝেছিল বাবা তাকে একেবারে জলে ভাসিয়ে দেয়নি , কিন্তু লক্ষ্মীর প্রত্যাশাটা ছিল এর চেয়ে একদম অন্যরকম , এই সুখের সাথে সেই সুখের আকাশ – পাতাল তফাৎ । এক বছরের মধ্যেই লক্ষ্মীর শশুর মারা যাওয়াই ব্যাবসার হাল অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছিল , এখন তো আরো বাজে অবস্থা ওদের , কোনরকমে সংসার চলে , লক্ষ্মীর স্বামী অনেক খেঁটেখুঁটে  চেষ্টা করছে ব্যবসাটাকে আগের মতন দাঁড়  করানোর। নিজের জেদে লক্ষ্মী  লোকের বাড়ি রান্নার – বান্নার কাজ করতে ঢুকেছে , প্রথমদিকে শাশুড়ি , স্বামী দুজনেই নারাজ থাকলেও এখন তারাও আর কিছু বলেনা , ওনারাও বুঝেছে এখন কার দিনে একজনের ইনকাম এ সংসার চালানো টা কতটা কঠিন । স্বামীর পাশে  একটু হলেও দাঁড়াতে পেরেছে সে এই ভেবেই লক্ষ্মীর একটু স্বস্তি আসে ।

মা এখন  টুকটাক কাজ করে , বাবারও ভালোই বয়স হয়েছে , তাই লক্ষ্মীর বাবা এখন বাজারের একটা মুদী দোকানে হেল্পার এর কাজ করেন। মেজবোনটারও দুবছর হলো বিয়ে হয়ে গিয়েছে , ছোটো  বোনটা টিউশন পরিয়ে নিজের পড়াশোনার খরচা চালায়।  বাবাকে তাদের এই অবস্থার কথা জানায়নি লক্ষ্মী , বাবাই বা কি করতো , শুধু শুধু কষ্ট পেতো । লক্ষ্মী মাঝে মাঝে গিয়ে দেখা করে আসে , কিন্তু তারা আসেনা এ  বাড়িতে  তাই জানতেও পারেননা ।

প্রীতিলতা কে নিয়ে অনেক স্বপ্ন লক্ষ্মীর যেগুলো  ওর একান্ত  নিজের জন্য ছিল সেগুলো এখন প্রীতিলতা কে নিয়ে জল বুনছে । কেঁদে ফেলে ও এগুলো বলতে বলতে , কষ্টে বুক ফেটে যায় ওর তারপর আবার বলে ওঠে ;
– আমার মেয়েটা  একদিন আমার এই সব চোখের জল মুছে দেবে , দেখো তোমরা।
আমরাও ওকে আশ্বাস দি ।

কিছুদিন আগেই আমার  University এর Ma’am   একটা assignment দিয়েছিলেন , প্রশ্ন ছিল এই যে 21 December , 2021 যে বিল টি পাশ হয়েছে , যেটি অনুযায়ী  ভারতীয়  মেয়েদের পুরুষ দের মতই ,  বিয়ের বয়স  18  থেকে 21 করা হয়েছে , তো এই সমন্ধে আমার কি মতামত ,অনেক ভেবেছিলাম সেদিন ঠিক কোনদিকে দিয়ে ভারতীয় মেয়েদের জন্য এই বিল টি লাভজনক।  এই বিলটি নাকি  Equality এর সাথে সাথে শিশুমৃত্যু , পুষ্টি – লিঙ্গ অনুপাত ,   বাল্য বিবাহ ,নারী শিক্ষা ,  বাচ্চা   মেয়েদের মানসিক উন্নতি  ইত্যাদি ইত্যাদিতে প্রভাব ফেলবে , জানিনা কতদূর কি হবে ।
সেদিনও assignment  যা লিখেছিলাম আজও তাই  লিখছি , আমার একান্ত নিজের মতামত ;  যখন লক্ষ্মীর বিয়ে হয় , তখন সরকার দ্বারা  মেয়েদের বিয়ের  বয়স  নির্ধারিত  ছিল 18  বছর   কিন্তু তখনও লক্ষ্মীদের  গ্রামের মত  এইরকম অনেক প্রতন্ত্য গ্রামে  যেখানে সংবাদ মাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যম পৌঁছাতে পারেনা , সেই গ্রাম গুলিতে   অনেক  লক্ষ্মীরই এইরকম  বাল্যবিবাহ এর আগুনে জ্বলতে হয়েছে । দিল্লি সুলতানদের রাজতন্ত্রের সময় থেকে ভারতে বাল্যবিবাহের প্রচলন , এটি প্রধানত মেয়েদের সুরক্ষার একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো এছাড়াও বিদেশি শাসকদের  ধর্ষণ অপহরণ থেকেও বাল্যবিবাহ  ভারতীয় বাচ্চা মেয়েদের রক্ষা করতো।  আমরা এখন সবদিক দিয়েই স্বাধীন হলেও বাল্যবিবাহের মত অভিশাপের ফাঁদ থেকে আমরা আজও মুক্ত হতে পারিনি।  ফুলের মত নরম ছোটো একটা মন  যাদের কোনরকম  দায়িত্ব এর  সমন্ধে কোনো ধারণা মাত্র নেই এমনকি যারা তাদের সঙ্গীর নাম টুকু জানেনা , তাদের ঘাঁড়ে  একটি ভারী বস্তার মত বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয় খুব সহজেই , অপরিণত বয়সে এত বড়ো একটি সিদ্ধান্ত শিশুদের পক্ষে অসম্ভব তাই আমার মতে বাল্যবিবাহ একপ্রকার জোরপূর্বক বিবাহ। 
ছেলে এবং মেয়ে  উভয়কেই সমাজের এই নিয়ম প্রভাবিত করলেও বিশেষ করে মেয়েদের  এই জাঁতাকলে পিষতে হয়েছে সেই অতীত কাল থেকে।

আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যম গুলোর উচিত আরও বিশেষ ভাবে এক্টিভ হওয়া এবং   “ বালিকা বধূ ” র  মত আরো বিভিন্ন বিনোদনমূলক প্রোগ্রাম এর দ্বারা  শিশুদের  তাদের মানবধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং জাগ্রত  করে তোলা , যাতে ভবিষ্যতে তারা এই প্রকার মানবধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারে।

বিভিন্ন সার্ভের দেখা গিয়েছে লক্ষ্মীর মত ,  আমাদের দেশের প্রায় ২১ লক্ষ্য  কম বয়সী মেয়েরা  গর্ভবতী  হয় যার একমাত্র কারণ এই বাল্যবিবাহ ।  তাহলে এই বিল কি আদেও এই অবস্থার পরিবর্তন করতে পারবে ?
         আমার মনে হয় না ।  আমার মনে হয় , যতদিন  না সরকার এই ব্যাপারটাকে নিবিড় ভাবে  পর্যবেক্ষণ করছে ততদিন  এই অভিশাপ আমাদের গ্রাস করতেই থাকবে , সাথে সাথে সমাজের এই আমাদের মত সাধারণ মানুষদের আরও একটু বেশি করে এই issue টিকে নিয়ে ভাবা উচিত । লক্ষ্মীর মত গরীব বাবার মেয়েদের জীবনে কোনরকম পরিবর্তনই আনবেনা এই বিল , কারণ   এ দেশের  বাল্যবিবাহের কারণ গুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো দারিদ্রতা , যতদিন না এ দেশের  দারিদ্রতা ঘুচবে ততদিন এ দেশের বেশির ভাগ লক্ষ্মীর এইরকম বলিদান চলতে থাকবে , আর এই কঠিন দারিদ্রতার কাছে এই ধরনের বিল কোনদিনই পাত্তা পাবেনা । 

আমি   ভাবি  লক্ষ্মীর মত আত্মবলিদান দেওয়ার ক্ষমতা আর কটা মেয়ের থাকে , এটলিস্ট আমার তো  একটুও নেই , লক্ষ্মীর মত লক্ষ্মী মেয়েরাই পারে  পরিবার , বাবা এবং বোনেদের জন্য নিজেদের সব স্বপ্ন ধুয়ে ফেলতে । লক্ষ্মীর মত মেধাবী ছাত্রীরা  আমাদের সমাজের ছাঁই চাঁপা আগুন ,ওদের ও অধিকার আছে  এই দেশে  বিনা  বাঁধায়   ধাউ ধাউ করে জ্বলে ওঠার।

আমাদের মত সুযোগ – সুবিধা পেলে ওরা যে কতদূর এগোতো তার ধারণা আমার , আপনার সবার ধরা – ছোঁয়ার একদম বাইরে। 

এইরকম লক্ষ্মী জন্মাক সবার ঘরে ঘরে।

—–

Stay safe

BE HAPPY

Thanks a lot for visiting.

______

Everyone

—–AVIDHA GOSWAMI

Ever since I grew up, I mean, during that time when  I became a teenager,at that time an entity was working in me which was the essence of being good to everyone,which remained in me until a few days ago.

Everyone  means those,  who knows me, to whom I know, to my classmates, to my friends, and so on . To them I would give my 100 percent, just to be good to them.

If those people said something good or bad to me, I would never say anything in response even if I was in pain.I used to say sorries even if the other person was wrong.
The other person doesn’t like me,  after knowing that, I would treat them so well days after days .. only in this hope that one day they will start liking me.
I tried to replied to their messages in 1 second and I also tried to please them with as sweet a reply as possible.
  
But I never succeeded in that way,at the end of the day I could never be so worthy to everyonene. I don’t know  why?
I don’t really know why I was desperate to get specious to everyone.

One day a friend of mine named Nayana told me a valuable thing, she said “a man cannot be good to everyone in his one short life, this effort is completely bootless”. Although I did not  understand the meaning of this in that day , but now  I can understand it very well .

Illustration by Xi Zhang collected from ArtStation.

I realised.

You can’t be everyone’s cup of tea,
not everyone will appreciate you, not everyone will find your jokes funny, not everyone understands your kindness ,
not everyone’s  behaviour  always will  be better  for you,not everyone will find your reactions to things as the appropriate proportions, that’s fine and normal and that’s actually okay.

You will never be the everyone’s favorite  in this vast world.

People must eradicate the need to please and be liked by everyone . We are different universes and we have different lenses to beauty and normalcy .
Here everyone have their own things,own  personalities, own specialities.

So …..what? What if someone doesn’t like you? Others certainly do. What if you don’t like someone? You certainly like some other ones.
We have to stop associating the concept of worthiness and value of a person with how many people like them.

I don’t know how much I have changed this cosmos of mine,or  how much I can change It in the future ..but I trying so hard.

In this diverse world ,we  can’t change us  exactly the  same  way they need and also here again, not everyone wants the same. So it’s better to don’t try it,because you never be able to make happy to whole world.

The most valuable thing I have realized is that … to whom you are good now, you will be good for him/her for lifetime,for this you haven’t to give any efforts or else.

So you have to be free.

Be you.

You don’t need be in anybody’s good books. Just be a decent human being. That’s enough.

——

———-For this article ,I was inspired by minarevaa’s thoughts from Aesthetic blossoms fb page.

STAY SAFE

BE HAPPY

Thanks a lot for visiting.

——-

Is it a crime to be a feminist?

— Avidha Goswami

এই আমাদের জেনারেশন এর কিছু মানুষ (পুরুষ) যারা বেশ ভালো মতনই নারী সম্মানের বুলি আওড়াই.. তাদের কিছুজনর কাছে এই নারীবাদ ব্যাপার টা খুব প্যাঁচপ্যাঁচে অতৃপ্তিকর..জোড় করে গিলতে হয় কিন্তু হজম করতে তাদের ভীষণ ভাবেই অসুবিধা হয়। অথচ প্লেটো ও একজন শিক্ষিত পুরুষ ছি লেন।
পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে তাদের so called পুরুষসত্তায় নূন্যতম আঘাত লাগলেই ব্যঙ্গ এর পাত্রী হতে হয় ‘বাব্বা ছুটি ফেমিনিস্ট হ্যাঁ’,সঙ্গে একটা বিদ্রুপ ভরা হাসি যেনো বিশাল বড়ো একটা পাপ করে ফেলেছি। এছাড়াও Facebook এ দেখি মাঝে মাঝেই smoke করছে এমন একটি মেয়ের ছবির সাথে Caption দেওয়া হয় ‘example of feminism’।
smoke করা তো একপ্রকার addiction এর সাথে নারীবাদের জন্ম জন্মান্তরের ধরে কোনো লিংক নেই ,তাহলে?
কই কোনো দিন তো দেখিনা smoke করছে , মদ খাচ্ছে তেমন পুরুষের ফটো দিয়ে লেখা হয়েছে example of masculinism , তখন কোথায় যায় মান সম্মান গুলো?Smoke করা একটা নারীর জন্য যতটা অন্যায়,একজন পুরুষেরও ততটাই অন্যায়,উভয় এর দেহে সমান ভাবে effects পড়ে কারো বেশি বা কম নয়,কোনো ism এই ব্যাপার টাকে prefer করেনা..তাহলে কি তারা নারীবাদের প্রকৃষ্ট উদাহরণ গুলো তুলে ধরতে ভয় পায়, by any chance নারীবাদ যদি সম্রাজ্য বিস্তার করে,
এই ভয়ে?
এইটাই সমস্যা?? (Roman consul Marcus Porcius Cato – “As soon as they begin to be your equals, they will have become your superiors!”)

এরাই আবার Men’s day এর দিন
সমান অধিকারের কথা বলে , পুরুষেরও কান্না পায় বলে গলা ফাটায় ,বাসের সিট , মহিলা কম্পার্টমেন্ট, female friendly law সব কিছু নিয়ে প্রশ্ন তোলে, কিন্তু কেন?
‘Mard ko dard nahi hota’ এই নোবেল লাইনটা সেদিন কোথায় যায়?
কেন ওনারা আর 364 দিন শুধু machismo ব্যাপারটাকে প্রমোট করতে ব্যাস্ত থাকেন? এইটার পিছনে কোনো লজিক আছে?
আরে দাদা mard ko vi dard hota hain , এই mard ও তো একজন মানুষ আর কান্না পাওয়া তো একটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। লজ্জা কিসের? লজ্জা তো ‘নারীর ভূষণ ’পুরুষের তো নয়, তাহলে?
কিসের এত লজ্জা দুঃখ, বেদনা স্বীকার করতে?
ভিড় বাসে ট্রেনে সবার সমান কষ্ট হয়, কিন্তু আলাদা করে মহিলা কম্পার্টমেন্ট কেনো ? Ladies seat কেনো?
এক কাজ করবেন বরং,
Daily passenger করে এমন যে কোনো মহিলা বা বাচ্চা মেয়ে দের কে একটু জিজ্ঞেস করে নেবেন তাদের ভিড় বসে ট্রেনে গুঁতানি খাওয়ার,বুড়ো বাঁদর মার্কা দাদুর সাথে সিট share করার অভিজ্ঞতা গুলো ঠিক কেমন তাহলে যদি একটু বোঝেন, একটু দয়া হয় আমাদের ওপর।
এছাড়া রোজ বহু অন্তঃসত্ত্বা এবং মাসিক চলাকালীন অবস্থাতেও মহিলা দের ট্রাভেল করতে হয়, আসলে পুরুষ দের তো এই জিনিসগুলো পোহাতে হয়না তাই হয়তো ওনারা বোঝেন না , আজকালকার শিক্ষিত পুরুষদের এই ব্যাপার গুলো বোঝা উচিত, কিন্তু ওনারা যদি এগুলো বোঝেন তাহলে নারীবাদের উপর আঙ্গুল তুলবে কে?
আর এখন কার দিনে একটা মহিলা কে দাড়িয়ে থাকতে দেখে কটা পুরুষ নিজের আরামদায়ক টি ছেড়ে দেয়? এমনকি বৃদ্ধ মহিলাকেও দাড়িয়ে থাকতে দেখেও না দেখার ভান করে কেউ আরাম করে বসে বই /ম্যাগাজিন নিয়ে নাড়াচাড়া করে , আর কেউ মোবাইল phn এ মুখ গুঁজে বসে থাকেন, কেউ আবার জানলার বাইরে মুখ বার করে আকাশ কুসুম কল্পনা করে।
তাহলে?

নামেই ওই ladies first,
নামেই এই দেশের female friendly law… মানছি পুরুষ দের ওপর ও অনেক অন্যায় অবিচার হয় ,কিন্তু একটা বাচ্চা মেয়ে কে সেই ছোটবেলা থেকে শুরু করে যতটা যুদ্ধ করতে হয় , যতটা অন্যায়,অবিচার ফেস করতে হয় শেষ বয়স অবধি ঠিক ততটা trouble পুরুষ মানুষ দের সহ্য করতে হয় তো? এই যে এত রেপ, অ্যাসিড attack , বধূ নির্যাতন সব কিছু নিত্য দিন ঘটে চলেছে এইসব কিছুতো শিক্ষিত পুরুষ গণ এর কাছে অজানা নয়, তারা সবাই social media তে সমান ভাবে এক্টিভ।
এই সব কিছু জানার পর দেখার পর
ও anti-feminism রোজ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।
এর পিছনে basic কারণ টা কি? ভয় না অন্য কিছু?
কেন feminism term টা এতটা বিরক্তিকর?

এই inequality গুলো সৃষ্টি হয়েছে কাদের হাত ধরে? Misogynistic ব্যাপার টা এলো কোথা থেকে?
দোষ টা কাদের? কাঁদতে লজ্জা না পেয়ে বরং এই ইস্যু টাতে একটু লজ্জা করুন.. ঘৃণা না করে মানতে শিখুন। _Avidha

Can visit here to gain some knowledge about root of feminism.

👇👇👇👇👇

Feminism’s Long History – HISTORY

Illustration: NOOR US SAFA ANIK

Stay safe

Be happy

Thanks a lot for visting